বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) বিসিএস পরীক্ষায় বড় ধরনের পরিবর্তন ও সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। প্রায় সাড়ে চার মাসের স্থবিরতা কাটিয়ে বিভিন্ন বিসিএস পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিএসসি। এই পরিবর্তনগুলো প্রার্থী নির্বাচন থেকে শুরু করে মৌখিক পরীক্ষা, আবেদন ফি, এবং পরীক্ষার সুযোগের ক্ষেত্রে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রবর্তন করেছে।
৪৪তম বিসিএস: মৌখিক পরীক্ষা পুনরায় শুরু
৪৪তম বিসিএসের আগের মৌখিক পরীক্ষা বাতিল করে ২২ ডিসেম্বর থেকে নতুন করে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিএসসি। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১১,৭৩২ জন প্রার্থী এই নতুন পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
৪৫তম বিসিএস: উত্তরপত্রে তৃতীয় পরীক্ষকের মূল্যায়ন
৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সব উত্তরপত্র তৃতীয় পরীক্ষকের মাধ্যমে যাচাই করা হবে। এতে পরীক্ষার মান এবং মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় ন্যায্যতা নিশ্চিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
৪৬তম বিসিএস: নতুন প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষার সুযোগ
৪৬তম বিসিএসে প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল পুনর্মূল্যায়ন করে ১০,৭৫৯ জন নতুন প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ২১,৩৯৭ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।
ভাইভা নম্বর কমানো এবং আবেদন ফি হ্রাস
ভাইভা পরীক্ষার নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করার প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি, ৪৭তম বিসিএসে আবেদন ফি ৭০০ টাকা থেকে কমিয়ে ২০০ টাকা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বয়সসীমার মধ্যে অসংখ্যবার পরীক্ষার সুযোগ
বয়স ৩২ বছর পর্যন্ত চাকরিপ্রার্থীদের যতবার ইচ্ছা বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে পিএসসি নতুন প্রস্তাব দিয়েছে। বর্তমানে সর্বোচ্চ চারবার পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার নিয়ম থাকলেও নতুন প্রস্তাব পাস হলে এই সীমাবদ্ধতা আর থাকবে না।
পিএসসি মনে করে, এসব পরিবর্তনের মাধ্যমে বিসিএস পরীক্ষার প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ, ন্যায্য এবং প্রার্থী-বান্ধব হবে, যা প্রশাসনিক কাঠামোতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।